শিশু ওম
গাছের পাতা ছন্দে দোলা তোতা বৃষ্টিতে ভিজে গেলে। ইমন রাগ পাখি হয়ে নামিয়ে আনে। অন্ধকার। একটু দেরীতে আসা সন্ধ্যা। চক্রাকারে তার আচল তলে হালকা চালে। সেইটুকুই দেখায় যেটুকু দেখানো যায়। বাকিটা নিজের। সাক্ষর করা দুঃখ। শোল মাছের লেজের শব্দ জল শুষে নিলে। বন্যা তার নাম। একটু উপরে ওঠে! রাত ফনা তোলে।
সময় মায়ার মত মসৃণ পথে কেবল নিচে যায়। ঘুমের মধ্যে তাই। কেবল দোলা লাগে। যতদূর চাও নিচে গিয়ে পড়। ভাবনা তো নেই। দুর্ঘটনা সেই হাতের উপরে কালের মাথা। বাতাসে ভেজা পাখির গায়ের ঘ্রাণ। ঘোলাটে আকাশে ধেনো মদের মত মেঘ গেলা দৃশ্য। মায়ের গন্ধ হয় এমন একটা গান গাও; বাইক্কা বিলের পাখি। প্রতিটি মুহুর্ত মায়া প্রতিটি মুহুর্ত অতীত। একটার গায়ের উপরে আরেকটা শুয়ে সময় ওম শিশু হয়ে যায়।
১১.০১.২০২৫
নিঘুমে ডিঙি নৌকা
আমাদের ছবির উত্তরসূরী কম্পনসার ডিঙি নৌকা। পুরোনো নদী ডেকে আনে শৈশব সাতারের ঘ্রাণ। এমন আচমন মাখা জল। গড়িয়ে আনে পূজার ফুল। বার বার একই বাক্য স্তোস্ত্রগীত। শিখিয়ে পড়িয়ে নেয়া ব্রাম্মণের মতি ভ্রমের মত। পুরোনো স্কুল। এই খাদে শখের সাতু। ফাটল বেরিয়ে দেখায়।
যা বুনি তার চারা বের হয় না। কেবল একাদশ সাজাই। আশার ক্যাপ্টেন। পাখিদের ওমের সূত্র। শীতের বাহির ঘর যার। বাঙলা অভিধানের বড় হয়ে ওঠা জীবন চক্রপাল। একই রেখায় মিশে গেলে। আরেকটা সফল কবিতার অপমৃত্যু হয়। ক্রিয়াপদে কেবলই মায়া; ক্রিয়াশীল প্রেমিকসত্তা শক্তিশালী।
১১.০১.২০২৫
অব-দংশ
মানিপ্লান্ট ব্যাথা বুকের বা পাশে অর্থ হয়ে যাও। মাঝের কিছু সময় হাফটাইম কনসার্ট। আমার নাচানাচি সেরা খেলয়াড়কে বিভ্রান্ত করে। ফুলের রঙের টব জল শুন্য হয়ে কর কীর্তন। ঝনঝন বা অপমৃত্যু। ছন্দের এবং নৃত্যের। চোখ সামনে নজর পিছনে। প্লাসে মেয়ে মাইনাসে ছেলে। অবচ্ছেদে আতুড়ঘর সেজে আবার মায়ের মুখ। মহুয়া হয়ে যাও।
প্রান্তরে ঘাস। আমার ভিতরের একশো ছাগ শিশু ক্ষুধা। উপেক্ষা করে একের পর এক খেলাঘর। একের পর এক অনুভুতি শুন্য বাক্য। ভীড়ের মধ্যে খলবল করে গজার মাছ যেন। নিজস্ব ভাষা বা বিবমিষা। হতেই পারে। তাই নিয়ম করে জল পান। পানির তৃষ্ণা বাড়ায়। স্পষ্ট জ্ঞানের অন্তরালে অবস্থিত অস্পষ্ট চেতনা। আগুন করে ফেলো সব দেবশিশুদের।
১১.০১.২০২৫